বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:০৭ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক:: বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার কবাই ইউনিয়নের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য কামরুজ্জামান রুবেল এর বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের ‘বিতর্কিত’ নেতাদের পুনর্বাসন করার অভিযোগ উঠেছে। কথিত বিএনপি নেতা কামরুজ্জামান রুবেল কবাই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান মো: জহিরুল হক তালুকদারসহ অর্ধশত নেতা-কর্মীকে এলাকায় পুনর্বাসন করেছেন।
এ ঘটনায় বিএনপির স্থানীয় নেতারা ছাড়াও তৃণমূলের কর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে, কবাই ইউনিয়নের শিয়ালঘুনি চৌমাথা বাজারে কামরুজ্জামান রুবেল ও তার আপন ভাই কামরুজ্জামান ডলার ইউনিয়ন কৃষক লীগের সহ-সভাপতি ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা মার্কার নির্বাচন পরিচালনার কার্যালয় করেছিলেন।
যেটি এখন বিএনপির কার্যালয় করা হয়েছে। কামরুজ্জামান রুবেলের মরহুম পিতা মাহবুব তালুকদার ছিলেন ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। বিএনপির দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে খোলস পাল্টায় কামরুজ্জামান রুবেল।
গত ১৬ বছর কামরুজ্জামান রুবেল সহ তার পরিবার আওয়ামী লীগের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন সহ ইউপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে। এমনকি তার পিতা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহবুব তালুকদার একজন আওয়ামী লীগের নির্বাচিত ইউপি সদস্য ছিলেন। এমনকি গত ইউপি নির্বাচনে কামরুজ্জামান রুবেলের ভাই ডলার আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ইউপি সদস্য হিসেবে নির্বাচন করেছিল।
যদিও সেখানে তার ভরাডুবি হয়। কথিক এই বিএনপি নেতা কামরুজ্জামান রুবেল আওয়ামী লীগ ক্ষমতার আমলে ঠিকাদারি করে বিপুল পরিমাণ অর্থের মালিক হয়েছেন। ৫ই আগস্টের পরে খোলস পাল্টে টাকার বিনিময় কবাই ইউনিয়ন বিএনপির আহবায় কমিটির সদস্যের পথ দখল করেছেন।
এখন তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের পুনর্বাসন করানোর। কবাই ইউনিয়নের বিএনপির আহবায়ক কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো: জাকির হাওলাদার বলেন, গত ১৫ ই আগস্টের আগে কামরুজ্জামান রুবেলকে বিএনপি’র সাংগঠনিক কোন কার্যক্রমে কখনোই দেখা যায়নি। বিগত ১৬ বছর আওয়ামী লীগের সাথে সম্পর্ক রেখে ঠিকেদারি কাজের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণে অর্ধেক মালিক হয়েছে।
হঠাৎ করেই ৫ই আগষ্টের পর ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক কমিটিতে কামরুজ্জামান রুবেলের নাম দেখা যায়। এখন তিনি এলাকায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের পূর্ণবাসন করছেন। বিষয়টি উপজেলা বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ খতিয়ে দেখবেন বলে তিনি আশাবাদ করেন।