বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:৩৪ পূর্বাহ্ন
নিজেস্ব প্রতিবেদক:: ঝালকাঠির নলছিটির ঐতিহ্যবাহী পৌরসভায় সাময়িক বরখাস্ত হওয়া তিন কর্মচারী অবৈধভাবে জোরপূর্বক অফিস করে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে, যাহা মোটেও কাম্য নয় জানিয়েছেন বিভিন্ন সুশীল সমাজ । সাময়িক বরখাস্ত হওয়া ওই কর্মচারীরা হলেন কর আদায়কারী গোলাম মোস্তফা ও নিম্নমান সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর মোঃ কাইয়ুম।
পৌরসভা সূত্রে জানা যায় ২০২১ সালের ২ ডিসেম্বর পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলরদের বিশেষ সভায় তিন কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। অত্র প্রতিষ্ঠানের আরেক কর্মচারী সাবেক সুইপার বর্তমান বিল ক্লার্ক মিরাজ হাসান প্রিন্সকে পৌর আচরণ বিধি লঙ্ঘন করায় নোটিশ প্রদান করে নিয়ম অনুযায়ী বরখাস্ত করা হয়। পরবর্তীতে এই তিন কর্মচারী তাদের সাময়িক বরখাস্তর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট করে। হাইকোর্ট তাদের করা রিট যাচাই-বাছাই অন্তে খারিজ করে দেয়। পরে তারা নিজেদের আপোরাদ থেকে শেষ রক্ষা পেতে আপিল করেন বলে যানা যায়। আপিলের সুরহা না হওয়া পর্যন্ত আইন অনুযায়ী তাঁরা পৌরসভায় কোনভাবেই যোগদান করতে পারেননা। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পরে দেশ অভিভাবকহীন হয়ে পড়ায় পুলিশ প্রশাসন মাঠে তৎপর না থাকায় সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে এই তিন কর্মচারী পৌরসভার মেয়র আব্দুল ওয়াহেদ খানকে নিরীহ মানুষ পাওয়ায় জোর করে কাগজে সই নেয়।
ওই কাগজে তাদের সাময়িক বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে উদ্দেশ্য পূর্ণভাবেই লেখা ছিল। যদিও বিষয়টি হাইকোর্টে বিচাররাধীন এ অবস্থায় মেয়রের ওই আদেশ বৈধ নয় বলে জানিয়েছেন পৌরসভা সংশ্লিষ্টরা। ঐ বিতর্কীত তিন জনে বহিরাগত লোকজন পৌরসভার আশপাশে দাঁড় করিয়ে পৌরসভার সবাইকে একপ্রকার হুমকির মুখে ফেলে জোরপূর্বক ৫ আগস্টের পর থেকে অফিস করে যাওয়ার পাশাপাশি পৌরসভার সকলকে তাদের কথায় উঠতে বসতে বাধ্য করা হচ্ছে বলে পৌরসভার একসূত্র জানান।
এই বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য পৌরসভার নতুন প্রজ্ঞাপনের নিয়ম অনুযায়ী দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশাসক ঝালকাঠি (অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ কাওছার হোসেনকে) অনুরোধ জানিয়েছেন পৌরবাসী। এই বিষয়ে অবগতি’সহ ব্যবস্থার অগ্রগতি যানতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক কাওছার হোসেনকে একাধিক বার মোবাইল ফোনে কল দিয়েও পাওয়া যায়নি।