বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:১৬ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশালে এখন আর ক্লাবে নয়, জুয়া খেলা ছড়িয়ে পড়েছে নগরীর বিভিন্ন হোটেল ও আবাসিক ভবনে। যেখানে প্রতি রাতে জুয়ার বোর্ডে হাতবাদল হয় লাখ লাখ টাকা। শহর এবং গ্রামাঞ্চলের অসংখ্য মানুষ অংশ নিচ্ছে জুয়া খেলায়। স্পটগুলোতে জুয়ার পাশাপাশি বসে মাদকের হাট।
জানা গেছে, ‘দীর্ঘদিন ধরেই নগরীতে জুয়ার আসর পরিচালনা করে আসছে একটি চক্র। যারা বিভিন্ন এলাকায় বাসা এবং হোটেল ভাড়া নিয়ে জুয়ার ব্যবসা চালিয়ে আসছিল। মাঝে মধ্যে পুলিশের তৎপরতায় জুয়ার আসর পরিবর্তন হলেও বন্ধ হয় না এই ব্যবসা।
জুয়ার সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত কয়েকটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, ‘সকল জুয়ার আসর কোতয়ালী, কাউনিয়া এবং এয়ারপোর্ট থানা এলাকার মধ্যে।
তবে অভিযোগ রয়েছে, আগে বরিশালে বেশ কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতার সেল্টারে জুয়ার আসর চললেও। গত ২০২৪ সালের ০৫ আগস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পরে বর্তমানে ছাত্রদল/যুবদলের গুটিকয়েক নেতার ছত্রছায়ায় স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই প্রতিদিন জুয়ার আসরে বসছে।
সূত্রগুলো জানায়, প্রতিটি স্পটে এক সঙ্গে আসর বসে না বলে জানিয়েছে সূত্রগুলো।
রাত ৯টা থেকে এসব স্পটে শুরু হয় জুয়া খেলা। যা চলে রাত ১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত। আবার বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্তও চলে।
জুয়া ব্যবসার সাথে জড়িত একাধিক সূত্র জানিয়েছে, প্রতিদিন জুয়ার আসর থেকে কতিপয় পুলিশ এবং বেশকিছু কথিত সাংবাদিক চাঁদা পেয়ে থাকেন।
এ প্রসঙ্গে কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান ও এয়ারপোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জাকির হোসেন, ‘মাদক-জুয়ার বিরুদ্ধে আমাদের নিয়মিত অভিযোগ চলছে। এ বিষয়ে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না বলেও জানান তিনি।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন মাদক-জুয়ার বিরুদ্ধে আমাদের নিয়মিত অভিযোগ চলমান আছে। আপনারা আমাদের তথ্য দিয়ে সহায়তা করবেন।