বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:১৬ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক:: ইউনিয়ন পরিষদের জনসেবা ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে গতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে নিরলস পরিশ্রম ও আন্তরিকতার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার ভৈরবপাশা ইউনিয়নের প্রশাসক অহিদুল ইসলাম। তিনি নলছিটি উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা।
গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর পালিয়ে যান উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা। সেই সঙ্গে পরিষদেঅনুপস্থিত রয়েছেন ইউপি সদস্যরা। জনপ্রতিনিধির অনুপস্থিতিতে নাগরিক সেবা ব্যাহত হওয়া এসব ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়।আর ভৈরবপাশা ইউনিয়নের প্রশাসকের দায়িত্ব নিয়েই সেবা প্রদানে নিজেকে তিনি নিয়োজিত রেখেছেন।
সরজমিনে দেখাগেছে, বর্তমানে ইউনিয়ন পরিষদের কাজের গতি বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। একইসাথে সকল শ্রেণির মানুষের জন্য কার্যক্রম হয়েছে স্বস্থির। কাঙ্খিত সেবা না পেয়ে কেউ যেন হয়রানির শিকার না হয় এ লক্ষ্য নিয়ে তিনি সর্বদা কাজ করে যাচ্ছেন। এতে স্থানীয় জনগণের প্রশংসাও পাচ্ছেন তিনি।বিভিন্ন কাজের জন্য জনগণকে দিনের পর দিন অফিসে ঘুরতে হচ্ছে না। এমনকি হয়রানিও কমেছে। কারণ অফিসে অনেক সময় না
প্রতাপ গ্রামের বাসিন্দা ফয়সাল হোসেন, আমাদের এলাকায় বিভিন্ন এলাকায় রাস্তা ভালো ছিলো না। এই প্রশাসক আসার পরে বেশ কিছু রাস্তাঘাট সম্পূর্ণ করা হয়েছে। এসব রাস্তাঘাট দিয়ে শিক্ষার্থীসহ শতশত মানুষ চলাচল করেন।আমরা ইউনিয়নবাসী তার কাছে কৃতজ্ঞ।
৮ নং ওয়ার্ডের সাবান বেগম বলেন,ইউনিয়ন পরিষদে এসে মানুষ কাঙ্খিত সেবাটি সহজে পাচ্ছেন কোনরকম হয়রানি ছাড়া খুব সহজেই সুন্দরভাবে কাজ হচ্ছে বলেও তিনি জানান
৩ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা নাজমুল হাসান টিটু বলেন, আমরা বিগত সময়ে ইউনিয়ন অফিসে বিভিন্ন কাজে হয়রানি ও ভোগান্তি পেতে হতো। তাছাড়া বেশিরভাগ সময় কাজ হয়নি। বর্তমান প্রশাসক নিয়মমাফিক যথেষ্ট আন্তরিকতার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন। এখন ইউনিয়নের যে কোন কাজে সঠিক সময়ে সহজেই সমাধান হচ্ছে। তিনি যোগদানের পর থেকেই নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
যুবদল নেতা সোহেল বলেন,কিছু লোক অনৈতিক সুবিধা না পেয়ে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছেন। আসলে তিনি আসার পরে ইউনিয়নে যথেষ্ট কাজ হয়েছে।
২, ৩ ও ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যরা জানান, আমাদের দিয়ে প্রশাসক মহোদয় রাস্তা যেমন করার কথা ছিলো তার চেয়ে বেশি ভালো করিয়েছেন।যেমন রাস্তা করার কথা ছিলে ১৮০ ফুট সেখানে ১৯০-১৯৫ ফুট করেছি।তাছাড়া রাস্তায় চওড়ায় আছে ৫ ফুট করার কথা থাকলেও সেখানে ৬ ফুট করিয়েছেন। তাছাড়া যেখানে বালি দেওয়ার কথা ছিলো ৬ ফুট সেখানে দেওয়া হয়েছে ৯ ফুট।
এ বিষয়ে ভৈরবপাশা ইউনিয়নের প্রশাসক অহিদুল ইসলাম বলেন,আমি গত বছরের ১২ ডিসেম্বর এখানের প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর থেকে চেষ্টা করি সবার সেবা দেওয়ার। যেহেতু আমি কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সেখানেও আমার দায়িত্ব পালন করতে হয় তারপরও চেষ্টা করবো জনগণের জন্য আরও কাজ করার।প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে টি আর একটি করে কাবিটা কাবিখা প্রকল্প দেয়া হয়েছে।কাজের ক্ষেত্রে জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে।