বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ০২:৫৮ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররাজনীতিতে সততা, সাহস ও আদর্শের প্রতীক হিসেবে পরিচিত রাফি সিকদার। তার নিরলস ত্যাগ, আন্দোলনমুখী নেতৃত্ব এবং শিক্ষার্থীদের প্রতি আন্তরিক মনোভাব তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে অত্যন্ত জনপ্রিয় করে তুলেছে।
শিক্ষার্থীরা আশা প্রকাশ করেছেন, আগামী বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের নতুন কমিটিতে একজন এমন আদর্শবান ও শিক্ষার্থীবান্ধব নেতাকে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে দেখতে চান তারা।
২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনের সময় রাফি সিকদার ছাত্রদলের পক্ষে সাহসী ও সংগঠিত নেতৃত্ব প্রদর্শন করেন। পুলিশি বাধা এবং অনুকূলহীন পরিস্থিতিতেও তিনি দৃঢ় অবস্থান নেন এবং শিক্ষার্থীদের পাশে থেকে সমাধানমূলক নেতৃত্ব দেন। সহপাঠীরা বলেছেন,“কঠিন সময়েও রাফির উপস্থিতি ও সহানুভূতিশীল নেতৃত্ব ছাত্রদলকে আরও শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ রাখতে সহায়ক হয়েছে।”
এক শিক্ষার্থী যোগ করেছেন,“জুলাই আন্দোলনের সময় রাফি ভাই সবসময় আমাদের পাশে ছিলেন। তার সাহস এবং আন্তরিকতা সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক।”
রাফি সিকদার বরিশাল মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব ত্যাগী নেতা জিয়া উদ্দিন সিকদারের সন্তান। বাবা থেকে প্রাপ্ত রাজনৈতিক আদর্শ, নীতি ও সততার শিক্ষা রাফিকে ছাত্ররাজনীতিতে এগিয়ে আসতে প্রেরণা যুগিয়েছে।
একান্ত আলাপে রাফি সিকদার বলেছেন,“আমি রাজনীতিকে মানুষের কল্যাণের হাতিয়ার হিসেবে দেখি। আন্দোলন-সংগ্রাম হোক বা সংগঠনের কাজ— সর্বত্র আমি চেষ্টা করি বাবার শেখানো সততা ও আদর্শ ধরে রাখতে। সবসময় শিক্ষার্থীদের পাশে থাকা আমার মূল লক্ষ্য।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিশ্বাস করেন, রাফি সিকদারের মতো তরুণ ও আদর্শবান নেতাদের নেতৃত্বে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল আরও শক্তিশালী ও কার্যকর সংগঠন হিসেবে গড়ে উঠবে।
এক শিক্ষার্থী বলেছেন, “রাফি ভাই সবসময় আমাদের পাশে থাকেন, সমস্যা সমাধানে আন্তরিক এবং রাজনীতিতে আদর্শিক। আমরা চাই, নতুন কমিটিতে তিনি নেতৃত্বের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করুন।”